ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ভাঙা সেতুটির ওপর দিয়েই প্রতিদিন দেবিদ্বার ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সেতুর ভাঙা অংশে কাঠ দিয়ে দুই বছর আগে মেরামত করে স্থানীয় সিএনজি অটো রিকশাচালকরা। তবে কালিকাপুর-পীরগঞ্জের দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই ভাঙা। সাথে ভাঙা সেতুর দুর্ভোগ। সুবিল ও ইউছুফপুর ইউনিয়নের সংযোগ এগারগ্রাম বাজার সংলগ্ন ভাঙা সেতুটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, এই সেতু দিয়েই ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বারের ৩০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এর ভাঙা অংশে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় এটি পুরো ভেঙে পড়তে পারে।
এগারগ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘কালিকাপুর-পীরগঞ্জ এই সড়ক সিলেট মহাসড়কে সংযুক্ত হয়েছে। এই সড়কের এগার গ্রাম বাজারের সেতুটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।’
এগারগ্রাম সিএনজি অটোরিকশার নেতা জামাল মিয়া জানান ‘এগারগ্রামের সেতুটি আট বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। দুই বছর আগে আমরা নিজেরাই ১৬ হাজার টাকা চাঁদা তুলে এর সংস্কার করেছি। আবার সড়কের অবস্থাও খারাপ।’
সেতুটির দুরাবস্থার বিষয়ে ইউছুফপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল চৌধুরী বলেন, ‘টেন্ডারে রাস্তার সাথে সেতুটিও অন্তর্ভুক্ত আছে। এই মাসের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছি।’
এদিকে দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ‘কিছুদিন চলার জন্য আমরা সেতুটি সাময়িক সংস্কার করে দেব। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাস্তার সাথে সেতুটির পুনর্নির্মাণ করা হবে।’